জুলাই থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল খাজনা
আগামী বছরের জুলাই থেকে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চলে যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা এখন আমরা ম্যানুয়াল ও ডিজিটাল দু’ভাবেই চলবে। তবে আগামী জুলাই থেকে ‘নো মোর ম্যানুয়াল সিস্টেম’, পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে যাবে।
বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (১ম পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করছি ধাপে ধাপে। এখন ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটাল করতে অনেক সমস্যা হবে। সব সমাধান করে ১ জুলাই থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চলে যাব। আমরা সিম্পল ওয়েতে (সহজ উপায়) সফটওয়্যারটা রাখতে চেয়েছি। আশা করি, সেভাবেই এটি হবে। জুলাই থেকে এটি ভালো একটি শেপে চলে আসবে। ডিজিটাল সিস্টেম যত বৃদ্ধি পাবে, সেবা তত সহজ হবে। শুধু ভূমি নয়, অন্য মন্ত্রণালয় বিভাগেও ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় মাঠ পর্যায়ে অনেকের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কিছু বিষয় প্রশিক্ষণ ছাড়া সম্ভব নয়। শিখতে কোনো সমস্যা নেই, তাই আমরা তাদের শেখানোর উদ্যোগ নেব। তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর থেকে আর ম্যানুয়াল সিস্টেম থাকবে না।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এক সময় ছিল একটি স্বপ্ন, রূপকথার গল্পের মতো। আজকে সেটি বাস্তবতা। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। যেসব প্যারামিটার আছে, জিডিপি গ্রোথসহ সবকিছুই ইতিবাচক। উন্নত বিশ্বের প্রবৃদ্ধির হার মাইনাসে চলে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের গ্রোথ অনেক বেশি। আমরা কোভিডকে ভয় পাইনি, যে যার জায়গায় কাজ করে গেছি। আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ও কাজ করেছি, আমরা কোনো কাজে বসে নেই। আমরা চাই সেবা দিতে, কাজ করতে।
ভূমি ব্যবস্থাপনার দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সমস্যা তো আছেই। এটা সার্ভিস ওরিয়েন্টেড মিনিস্ট্রি। সেজন্য পাবলিকের সম্পৃক্ততা বেশি। তবে এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি। তাহলে অনেক সমস্যাই সমাধান হবে। আমাদের কাছে অনেক অভিযোগও আসে। এটা সিস্টেমের কারণে। এজন্য আমরা সিস্টেমকে ডেভেলপ করতে চাই। আমরা কাজে বিশ্বাসী। মানুষকে ঘরে বসে কীভাবে সেবা দিতে হবে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।