‘হাওরাঞ্চলের মানুষের আর আগের মতো দুঃখ থাকবে না’

ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ফলে হাওরাঞ্চলের মানুষের আর আগের মতো দুঃখ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এ সড়ক নির্মাণের ফলে হাওরবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ কমেছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি এই উদ্যোগটা না নিতেন, আর বারবার আমাদের না বলতেন, তাহলে এই অঞ্চলে এই রকমভাবে রাস্তা যে করা যায়, তা চিন্তারই বাইরে ছিল। কিন্তু আজকে তার অনুপ্রেরণা এবং তারই উদ্যোগে এ রাস্তাটি আমরা করতে পেরেছি। তিনি আশা করেন, এই সড়ক হওয়ায় কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের মানুষের এখন আর সেই ‘আগের মতো দুঃখ থাকবে না’।

সারা দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্য পরিবহন ও মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে সরকার সারা দেশে ‘যোগাযোগ নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশে একটা সড়কের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি; নৌপথগুলো সচলের ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরও নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি।

নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়কপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি।

অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। আর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

উল্লেখ্য, হাওরের বিশাল জলরাশির মাঝখানে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক এখন একটি আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় হাওরের বুকে ইটনা থেকে মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এ সড়কের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.