‘আবেদনপত্র দেখে খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত’
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে করা আবেদনপত্র এখনও তার কাছে পৌঁছায়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবেদনপত্রে কী চাওয়া হয়েছে তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়েরর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদনটি এখনো তার কাছে পৌঁছায়নি। আবেদনপত্রে কী চাওয়া হয়েছে সেটিও তিনি দেখেননি। আবেদন হাতে পেলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা বিবেচনা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছেন। এবারও আবেদনপত্রে কী চেয়েছেন তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তার পরিবার। আবেদনটি পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইনি দিক বিচার-বিশ্নেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিতাদেশের পর ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সেই মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এর পরই অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

Comments are closed.