‘করোনার জাদুকরী সমাধান কখনো নাও মিলতে পারে’
সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার তিনশ ৮২ জন এবং মারা গেছে ছয় লাখ ৯৭ হাজার একশ ৭৫ জন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার সঠিক কোনো ওষুধ কিংবা টিকা আবিষ্কার হয়নি। তবে সারাবিশ্বের গবেষকরা দিন-রাত এক করে টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে বহুবার টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা শোনা গেছে।
তবে এবার অনেকটা হতাশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান টেডরস অ্যাডহানম ঘেবরেয়াসাস। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সহজ ও জাদুকরী কোনো সমাধান সম্ভবত পাওয়া যাবে না এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পথ দীর্ঘ হতে পারে। গতকাল সোমবার জেনেভায় অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
এজন্য সারাবিশ্বের বাসিন্দাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে, হাত ধুয়ে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন, জনগণ এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আমাদের বার্তা অত্যন্ত পরিষ্কার; সবাই এসব বিধি পালন করুন। বিশ্বজুড়ে মাস্ক পরিধানকে সংহতির প্রতীক করে তোলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি টিকা এখন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে আছে। বেশ কয়েকটি কার্যকর টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এসব টিকা মানুষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষার ব্যাপারে সহায়তা করতে পারে। তবে বর্তমানে সহজ ও জাদুকরী সমাধান নেই এবং ভবিষ্যতে নাও মিলতে পারে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, ভারত, ব্রাজিলসহ যেসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার তীব্র; সেসব দেশের বড় ধরনের লড়াইয়ের প্রয়োজন। তারা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ অনেক লম্বা এবং এজন্য টেকসই পদক্ষেপ দরকার।
টেডরস অ্যাডহানম বলেন, বৈশ্বিকভাবে বিশ শতকের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা হলো করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস মোকাবিলায় একটি টিকার জন্য আন্তর্জাতিক যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ঐতিহাসিক। অনেক টিকা পরীক্ষা চলছে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর আমাদের আশার জায়গাও সেখানে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা টিকা পাবো।
সূত্র : এনডিটিভি