ডা.সাবরিনা গ্রেফতার, হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে বরখাস্ত
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা এ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
জেকেজি হেলথকেয়ারের করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবরিনা তারই স্ত্রী।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাবরিনাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা টেস্ট নিয়ে জেকেজি হাসপাতালের জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ডা. সাবরিনাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে গত ৪ জুন স্বামী আরিফুলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে সাবরিনা তেজগাঁও বিভাগের একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তবে অন্তত দুই মাস আগে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সাবরিনা দাবি করেন।
জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিত।
এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২২ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের সাবেক গ্র্যাফিকস ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফকেও গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকা ও করোনা টেস্টে প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।