বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ৮৪ লাখ, মৃত্যু সাড়ে চার লাখ
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য রাখা, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন।
এছাড়া শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৮ জন। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৮৯ হাজার আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষের। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যে সময়ে লকডাউন শুরু করেছিল যদি সে সময়ের এক সপ্তাহ আগে লকডাউন জারি করত, তবে অন্তত ৩৬ হাজার লোকের প্রাণ বেঁচে যেত।
করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ব্রাজিলে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৭৮ হাজার। মৃতের সংখ্যাতেও দ্বিতীয় ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ৭৪৮ জন মানুষ।
এরপরে তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রাশিয়ায়। সেখানে ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তবে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। দেশটিতে ৭ হাজার ৬৫০ জন করোনায় মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যায় ১৩ তম রাশিয়া।
চতুর্থ সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। দেশটিতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে দেশটি অষ্টম। সেখানে ১২ হাজার ২৩৭ জন করোনায় মারা গেছেন।
এ দিকে করোনা সংক্রমণের ১০৩তম দিনে এসে আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বে ১৭ নম্বর স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। গত ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম ৮৭ দিনে গত ২ জুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে পৌঁছায়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৮০৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্য দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জনে পৌঁছাল। গত ১৬ দিনে ৪৯ হাজার ৮৪৭ লোক সংক্রমিত হয়েছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ জনে। প্রথম ৮৭ দিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০৯ জন। পরবর্তী ১৬ দিনে ৬৩৪ জন মৃত্যুবরণ করলেন।