ভাগ্যের সহায়তায় বেঁচে গিয়ে সেঞ্চুরি ক্যারির
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে ৬৩তম ওভারে ক্যারির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ/ক্যাচের আবেদন হলে ইংল্যান্ড রিভিউ নেয়। প্রযুক্তিতে একটি বড় ‘স্পাইক’ দেখা গেলেও টিভি রিপ্লেতে বোঝা যায়, শব্দটি ব্যাটে বল লাগার আগেই হয়েছে। ফলে সিদ্ধান্ত যায় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই।
এই প্রসঙ্গে ক্যারি বলেন, ‘বলটা ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমি হালকা একটা স্পর্শ বা শব্দ অনুভব করেছিলাম। আমাকে যদি আউট দেওয়া হতো, আমি রিভিউ নিতাম, হয়তো খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে নয়। ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা পরিষ্কার শব্দ হয়েছিল।’
৭২ রানে জীবন পাওয়ার পর ক্যারি ইনিংস গড়ে তোলেন দারুণ ধৈর্য ও নিয়ন্ত্রণে। তার সেঞ্চুরির সুবাদে দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ৩২৬ রান। পুরো সিরিজজুড়েই অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত ‘স্নিকো’ প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ডেভিড সেকার ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিষয়টি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে তোলা হতে পারে। ‘পুরো সিরিজেই এ নিয়ে উদ্বেগ আছে। দিনের খেলা শেষে এসব নিয়ে কথা বলতে হওয়া উচিত নয়, ব্যবস্থাটা আরো উন্নত হওয়া দরকার,’ বলেন তিনি।
এর আগে ২০২৩ অ্যাশেজে লর্ডসে জনি বেয়ারস্টোকে স্টাম্পিং করে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ক্যারি। নতুন বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্নিকো ঠিকমতো মেলেনি। ক্রিকেটে কখনো কখনো ভাগ্য সহায় হয়, আজ হয়তো সেটা আমার পক্ষেই গেছে।’
‘ওয়াকার’—অর্থাৎ ব্যাটে বল লাগলে নিজে থেকেই মাঠ ছেড়ে দেওয়ার রীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্যারি মজা করে বলেন,
‘স্পষ্টতই না।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.