যারা দেশে টাকা না খাটিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাচ্ছে তাদের দেশ থেকে একেবারে চলে যেতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থ দেশে খরচ করবেন। আর যারা অন্য দেশে খরচ করবেন তাদের একেবারে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান করছি।
শুক্রবার বাজেটোত্তর এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের অর্থ পাচাররোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ভালো। ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট নেই। আগে খেলাপি ঋণ বেশি ছিল, এখন কমে এসেছে। কেউ বলতে পারবে না ব্যাংকে টাকা পায়নি। ব্যাংকে ভালো সেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের ব্যাংকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন খবর আমরা পায়নি।
বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনা বেশিদিন প্রলম্বিত হবে না। আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। আমাদের অবকাঠামো ও জনবল আছে, সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।
কভিড-১৯ প্রেক্ষিতে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধিকার দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এবার টাকার কোন অভাব হবে না। কিন্তু শর্ত হলো স্বাস্থ্য বিভাগকে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকরভাবে দ্রুত সেবার মান বাড়াতে হবে।
পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার গতিশীল করতে কাজ করা হচ্ছে। এর গভীরতা বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যে উদ্যোগ নিয়েছি সচারাচর এমন উদ্যোগ নেওয়া হয় না।
মুস্তফা কামাল বলেন, করোনার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য এবারের বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর রেয়াত ও কর আইন সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব অঞ্চলে এবার বড় আকারে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে, যা নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।