নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা চালায় ২৭৯ ইস/রায়েলি সেনা, জানা গেল কারণ
গত ১৮ মাসে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ইসরায়েলের ২৭৯ সেনা সদস্য। এদের অনেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সক্রিয়ভাবে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। গাজা ভূখণ্ডে ফের ইসরায়েলি বর্বরতার মধ্যে তাদের সেনাদের আত্মহননের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান-এর বরাতে টিআরটি ওয়ার্ল্ডে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্রের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ‘ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকহারে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ২৭৯ জন আত্মহননের চেষ্টা চালান। যার মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়।এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২৪ সেনা সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাধ্যতামূলক সেনা সার্ভিসে ছিলেন। ২১ শতাংশ ছিলেন রিজার্ভ সেনা এবং ১১ শতাংশ বিভিন্ন বাহিনীতে পেশাদার সেনা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় হাজার হাজার রিজার্ভ সেনাকে বাহিনীতে বাধ্যতামূলক যুক্ত করে ইসরায়েল। যারা গাজায় সক্রিয়ভাবে গণহত্যায় অংশ নিয়েছে। তাদের অনেকের মধ্যেই এখন আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে।
ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা ওফের কাসিফ বলেন, ‘সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা মহামারি হয়ে দেখা দিয়েছে। যা যুদ্ধ শেষে বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে (আমাদের) সেনাদের মানসিক সহায়তার সিস্টেম তৈরি করতে হবে। আমাদের যুদ্ধ বন্ধ এবং সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।’
সেনাদের যুদ্ধে পাঠালেও এখন তাদের মানসিক সহায়তায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন কাসিফ। তিনি বলেন, ‘সরকার যুদ্ধে সেনাদের বাধ্যতামূলকভাবে পাঠিয়ে এর পরবর্তী মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে সেনাদের সহায়তা দেয় না। নেতানিয়াহু সরকার আসলে সেনাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’

Comments are closed.