ভারত-চীন উত্তেজনা: ফোনে কথা ট্রাম্প-মোদির
ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এ নিয়ে ফোনে কথা হয়েছে। তারা আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়েও। আলোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই নেতা ২৫ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন মঙ্গলবার। এর মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে লাদাখ সীমান্ত উত্তেজনার ইস্যুও ছিল। তবে ওই বিবৃতিতে ভারত-চীন উত্তেজনা নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো কথা বলা হয় নি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে যখন লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা ওই সীমান্তে উত্তেজনাকর অবস্থানে অবস্থান নেন, তখন দুই দেশের মধ্যে স্বেচ্ছায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
কিন্তু যথারীতি তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারত। চীনও ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর ভারতের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসনে চরমভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান ইলিয়ট এনজেল বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে যেকোন সমস্যার সমাধানে সব আদর্শ, কূটনৈতিক উপায় ও বিদ্যমান মেকানিজম ব্যবহারের জন্য চীনের প্রতি দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাই আমি।
ট্রাম্প ও মোদির ফোনালাপ নিয়ে সরকারি বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় গ্রুপ সেভেন বা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে চলমান গণঅসন্তোষে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদি। পরিস্থিতির সমাধানে তিনি তার শুভ কামনা জানান। এ ছাড়া দুই নেতা করোনা ভাইরাসের মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হয়। গত সপ্তাহে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তার করণীয় নির্ধারণের জন্য সময় দেয়া হয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম দিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় যথেষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে এই সংস্থা। তাই প্রথমেই তিনি এই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেন। তারপর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হলো চীনের হাতের পুতুল।