চাকরির ইন্টারভিউ নিয়ে যাদের ভয়, তাদের জন্য সুখবর

চাকরির সাক্ষাৎকার নিয়ে তরুণ-তরুণীদের বড় দুশ্চিন্তা থাকে—কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন, কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দেবেন, আর সেই চাপ সামলাবেন কেমন করে। এবার সেই প্রস্তুতির তালিকায় যুক্ত হলো ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তি।

যুক্তরাজ্যের বার্কশায়ারের স্লাউ শহরে সলথিল ডিজিটাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি ৩৫ জন তরুণ-তরুণীকে বিনা খরচে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ। ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীরা পাবেন মক ইন্টারভিউর অভিজ্ঞতা, যেন তারা সত্যিকারের সাক্ষাৎকার কক্ষে বসে আছেন।

সলথিল ডিজিটালের পরিচালক বেন মিচেল জানান, ‘আমরা চাই তরুণেরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মবিশ্বাসী হোক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ভিআরের মাধ্যমে আমরা মক ইন্টারভিউ নেব, কভার লেটার ও সিভি লেখায় সহায়তা করব। এতে তরুণরা চাকরির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারবে।’

বাস্তব অভিজ্ঞতার মতো সুযোগ

এই প্রশিক্ষণে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরায় পুরো মক ইন্টারভিউ ধারণ করা হবে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ভিআর হেডসেটে চালানো হবে। ফলে অংশগ্রহণকারীরা আবারও পুরো প্রক্রিয়া দেখে নিজেদের ভুলগুলো খুঁজে নিতে পারবেন। মিচেল বলেন, ‘এভাবে অংশগ্রহণকারীরা মনে করবেন তারা সত্যিই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এতে ভয় বা নার্ভাসনেস অনেকটাই কমে যাবে।’

 

নতুন কর্মপরিবেশের প্রস্তুতি

বিশেষজ্ঞদের মতে, চাকরির বাজার দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই সাক্ষাৎকার ও কর্মজীবনের প্রস্তুতিও হতে হবে নতুনভাবে। ক্যারিয়ার পরামর্শক সেজান লুৎফি বলেন, ‘চাকরির প্রতিযোগিতায় এখন শুধু বই থেকে পাওয়া জ্ঞান যথেষ্ট নয়। তরুণদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং আগে থেকেই বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে হবে। ভিআর সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।’

অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণের এই সুযোগ তাদের জন্য বড় সহায়ক হবে।

ঘরে বসে ইন্টারভিউয়ের সুবিধা 

ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হলে বাড়িতে বসেই চাকরির পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। চাকরির প্রস্তুতি ও পরীক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভিআর-ভিত্তিক সাক্ষাৎকার তাদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

You might also like

Comments are closed.