টাটা পাঞ্চ ফেসলিফট, নতুন রিয়ার ডিজাইনে চমক

টাটা মোটরসের জনপ্রিয় মাইক্রো এসইউভি পাঞ্চের ফেসলিফট ভার্সন (Tata Punch Facelift) নিয়ে বাজারে জল্পনা তুঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এই গাড়ির আত্মপ্রকাশ হবে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার এর টেস্ট মডেল রাস্তায় ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক স্পাই শটে নতুন ক্যামোফ্লেজড টেইল ল্যাম্প দেখা গিয়েছে, যা গাড়ির রিয়ার ডিজাইনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

 


পূর্ববর্তী স্পাই ইমেজ অনুযায়ী, পাঞ্চ ফেসলিফটের ডিজাইন কোম্পানির অন্য আইসিই এসইউভি—নেক্সন, হ্যারিয়ার এবং সাফারির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। সামনে এজ-টু-এজ লাইটবার, নতুন বাম্পার, ত্রিভুজাকার সাইড ভেন্ট এবং আরও কমপ্যাক্ট প্রজেক্টর হেডল্যাম্প ও ফগল্যাম্প যুক্ত হতে পারে। সাইড প্রোফাইলে নতুন অ্যালয় হুইল দেখা যাবে। পিছনে অল্ট্রোজের মতো ব্ল্যাকড-আউট সেকশন ও রিয়ার লাইটবারসহ নতুন টেইল ল্যাম্প সেটআপ আসতে পারে।

ইন্টেরিয়র ও ফিচার

কেবিনে বড়সড় পরিবর্তন না হলেও ফিচারের দিক থেকে গাড়িটি আরও উন্নত হবে। বর্তমান ১০.২৫-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম অপরিবর্তিত থাকবে, তবে এলইডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের বদলে আসতে পারে সম্পূর্ণ ডিজিটাল স্ক্রিন। নেক্সন থেকে নেওয়া নতুন টু-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল ও আলোকিত টাটা লোগো যোগ হতে পারে। ম্যানুয়াল ভ্যারিয়েন্টে থাকবে অ্যানালগ পার্কিং ব্রেক। নতুন ফিচারের তালিকায় ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা সহ একাধিক প্রিমিয়াম সুবিধা যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স


ইঞ্জিনে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। ১.২-লিটার ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড ইঞ্জিনের সঙ্গে ৫-স্পিড ম্যানুয়াল ও ৫-স্পিড এএমটি গিয়ারবক্স আগের মতোই থাকবে। ফ্যাক্টরি-ফিটেড সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট বহাল থাকবে। পাশাপাশি সিএনজি-এএমটি ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে, যেমন বর্তমানে টিয়াগো ও টিগরে দেওয়া হচ্ছে।

বাজার প্রতিযোগিতা

লঞ্চ হওয়ার পর নতুন টাটা পাঞ্চ ফেসলিফট আবারও সরাসরি টক্কর দেবে হিউন্দাই এক্সটারকে। নতুন ডিজাইন, উন্নত ফিচার ও আধুনিক কেবিনের কারণে গাড়িটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আত্মপ্রকাশের পর পাঞ্চ ফেসলিফট নিঃসন্দেহে মাইক্রো এসইউভি সেগমেন্টে গ্রাহকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে উঠবে।

You might also like

Comments are closed.