খেলোয়াড়দের জন্য ব্যয় কমলো বার্সেলোনার, দ্বিগুণ খরচ রিয়ালের

লম্বা সময় ধরে আর্থিক সংকটে ভুগছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। আর্থিক স্থিতিশীলতা না থাকায় তারা পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ও কিনতে পারছে না। একই সময়ে স্টেডিয়াম সংস্কার, তুলনামূলক দর্শক-অপ্রতুল মাঠে খেলাসহ নানা কারণে তাদের আয়ের পরিমাণ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে ফুটবলারদের বেতনে। বিপরীতে জমজমাট অবস্থা বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের ব্যয় বেড়েছে, যা কাতালানদের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
গতকাল (শুক্রবার) লা লিগা জানিয়েছে, বার্সেলোনার স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা (স্যালারি ক্যাপ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫১ মিলিয়ন ইউরোতে। আগের তুলনায় কমেছে ১১২ মিলিয়ন ইউরো। অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের ব্যয়সীমা বেড়ে ৭৬১ মিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে। যা লা লিগার ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের চেয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের খরচের সীমা বেড়েছে ৭ মিলিয়ন ইউরো।
দলবদলের বাজার বন্ধ হওয়ার পর লা লিগা স্কোয়াডের ব্যয়সীমা প্রকাশ করে। প্রতি মৌসুমে তারা ক্লাবের আর্থিক স্থিতিশীলতা অনুযায়ী প্রথম স্কোয়াডের খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি কোচিং স্টাফ, রিজার্ভ এবং যুব দলের জন্য খরচের সীমা বেধে দেয়। এই সীমাবদ্ধতা বিশেষত বার্সাকে বড় সমস্যায় ফেলেছে। বেতন সীমার এই ঘাটতির কারণে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নানা জটিলতায় পড়ছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
কাতালানদের এই অর্থব্যয় নিয়ে জটিলতা নিয়ে লা লিগা বলছে, বার্সেলোনার বাজেটে যে (স্টেডিয়ামের) ভিআইপি বক্সের টিকিট বিক্রি থেকে সম্ভাব্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় ধরা হয়েছিল, তা অডিটররা এখনও নিশ্চিত করেনি। ফলে সেই অর্থ বাদ দিলে তাদের ব্যয়সীমা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়াম বর্তমানে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ। তাই তারা এখন খেলছে তুলনামূলক ছোট মাঠ অলিম্পিক লুইস কোম্পানিস স্টেডিয়ামে। যেখানে দর্শক-আসন কম হওয়ায় টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও ম্যাচ-ডে’র আয়ে তারা বড় ধাক্কা খেয়েছে। ভিআইপি বক্স থেকে আয়ের খাতও আপাতত বন্ধ।
এমন সংকট বার্সা কাটিয়ে ওঠার সামর্থ্য রাখে বলে মনে করেন লা লিগার ডিরেক্টর জেনারেল হাভিয়ের গোমেজ, ‘১১২ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের পার্থক্যটা ভিআইপি বক্সের ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয়ের সঙ্গে মিশে গেছে। আমরা নিশ্চিত যে বার্সেলোনা এই পরিস্থিতি সামলাতে পারবে। তাদের অনেক সম্পদ রয়েছে এবং ভিআইপি বক্স বিক্রির টাকা হিসাবে আনা হলে ব্যয়সীমা আবারও বাড়তে পারে।’
উল্লেখ্য, ট্রান্সফার মার্কেট শেষে বলা হচ্ছে  রিয়াল মাদ্রিদের বেতন সীমা ৭৫৪ মিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬১ মিলিয়নে। যা বার্সেলোনার দ্বিগুণেরও বেশি। লা লিগায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা আতলেটিকো মাদ্রিদের ৩২৭ মিলিয়ন ইউরো। আর সবচেয়ে কম সেভিয়ার (২২ মিলিয়ন ইউরো)।
You might also like

Comments are closed.