মায়ের কাছে চা খাওয়া ছিল পাকনামি, শৈশবের স্মৃতিচারণে মৌ

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নিজের শৈশব ও কৈশোরের নানা অভিজ্ঞতার কথা ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সেখানে তিনি জানান, তার মা তাকে এবং তার বোনকে বড্ড আগলে রেখে বড় করেছেন। মা মনে করতেন সালোয়ার-কামিজ পরা এবং চা পান করা ‘পাকনামি’। এই কারণে অনেক বড় বয়স পর্যন্ত তাদের ফ্রক পরতে হয়েছে।
মৌ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে বৃষ্টি পড়লে মায়ের কাছে অনুমতি নিতে হতো, ‘আম্মু, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে তো, একটু সালোয়ার-কামিজ পরি?’ আর চা পান করার বিষয়ে মা বলতেন, এগুলো পাকনামি।’
তিনি আরও জানান, নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ার আগে পর্যন্ত তার সালোয়ার-কামিজ ছিল না। নাচের ক্লাসে যেতে হতো স্কার্ট পরে। একদিন বাফাতে (বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস) কথক ক্লাসে স্কার্ট পরে গেলে নৃত্যশিল্পী শিবলি মোহাম্মদ তাকে আদর করে ডেকে বলেন, ক্লাসে স্কার্ট পরা যাবে না। মৌয়ের কথায়, ‘শিবলি ভাই আমাকে ভালোর জন্যই বলেছিলেন। কারণ গেটের বাইরে অনেক বাজে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে।’
শিবলি ভাইয়ের কথা শুনে মৌ বাড়িতে ফিরে মাকে কান্নাকাটি করে জানান যে তার নিজের সালোয়ার-কামিজ প্রয়োজন। এরপরই তিনি সালোয়ার-কামিজ পরার অনুমতি পান। মৌয়ের মতে, এই ঘটনাটিই তার জীবনে প্রথম বড় হওয়ার উপলব্ধি এনে দেয়।
পডকাস্টের এক পর্যায়ে উপস্থাপক মজার ছলে বলেন, ‘তাহলে কি মৌয়ের রূপের রহস্য হচ্ছে চিনি না খাওয়া?’ মৌ এই কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন।
You might also like

Comments are closed.