রাতে মোটরসাইকেল চালানোর আগে যা জানতেই হবে
অনেকেই রাতের বেলায় প্রয়োজনে কিংবা শখের বসে মোটরসাইকেল চালান। কেউ কেউ দীর্ঘ যাত্রার জন্য রাত বেছে নেন। আবার কেউ নীরব রাস্তায় জ্যামমুক্ত ড্রাইভ উপভোগ করেন।
নিচে রাতে মোটরসাইকেল চালানোর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো –
রাতে বাইক চালানোর সময় হেডলাইটই আপনার সবচেয়ে বড় ভরসা। শহরের রাস্তায় হেডলাইট লো বিমে রাখা ভালো, যাতে সামনে থাকা গাড়ির চালক বিরক্ত না হন এবং কাছাকাছি রাস্তা ভালোভাবে দেখা যায়।
রাতে বাইক চালাতে গেলে দিনের চেয়ে গতি কম রাখা উচিত। বেশি গতি মানেই বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি। নিজের এবং অন্যদের নিরাপত্তার জন্য গতি সীমিত রাখুন।
৩. হাইওয়েতে উজ্জ্বল হেলমেট পরুন
রাতে হাইওয়ে রাইডে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে। যদি সম্ভব হয় উজ্জ্বল রঙের হেলমেট ব্যবহার করুন। এতে অন্য গাড়ির হেডলাইটে আপনি দূর থেকেও দৃশ্যমান হবেন।
৪. লাইট সিগন্যাল সঠিকভাবে ব্যবহার করুন
রাতের যাত্রায় পাসিং লাইট, ইন্ডিকেটর এবং টেইল লাইট ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। ওভারটেক করার সময় হেডলাইট দিয়ে সংকেত দিন, লেন পরিবর্তনের সময় হলুদ ইন্ডিকেটর দিন এবং পেছনের গাড়িকে সাবধান করার জন্য রেড টেইল লাইট জ্বালানো রাখুন। রাইড শুরুর আগে সব লাইট ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা দেখে নিন।
৫. রিফ্লেক্টর ব্যবহার করুন
রিফ্লেক্টর স্টিকার লাগাতে পারেন হেডলাইটের ওপরে, সাইড মিররের আশেপাশে বা চাকার পাশে। চাইলে রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট বা উইন্ডব্রেকার পরতেও পারেন, যাতে অন্ধকারে অন্য চালকরা আপনাকে সহজেই চিনতে পারেন।
৬. পর্যাপ্ত জ্বালানি সঙ্গে রাখুন
রাতে রাস্তায় ফুয়েল না পেলে বিপদ হতে পারে। তাই গন্তব্য অনুযায়ী আগে থেকেই ফুয়েল ভরে রাখুন। পাশাপাশি, ইঞ্জিন অয়েলও চেক করে নিন। আপনি চাইলে Shell Advance এর মোটরসাইকেল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। যা বিভিন্ন বাইক ও রাইডিং স্টাইলের উপযোগীভাবে তৈরি।
৭. নির্জন স্থানে থামবেন না
বাইক কোনো কারণে থেমে গেলে একেবারে ফাঁকা বা নির্জন রাস্তায় দাঁড়াবেন না। যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান। রাতে ছিনতাইয়ের ঝুঁকি অনেক বেশি। রাস্তায় অচেনা কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়াবেন না।
৮. একা রাইড করবেন না
রাতে একা বাইক চালানো এড়িয়ে চলাই ভালো। সম্ভব হলে এমন কাউকে নিন, যে প্রয়োজনে বাইক চালাতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি গ্রুপে রাইড করেন। এতে বিপদে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়।
৯. মোবাইল চার্জড রাখুন এবং নেভিগেশন চালু রাখুন
রাতে যেকোনো বিপদের জন্য ফোনে পর্যাপ্ত চার্জ রাখা জরুরি। জিপিএস বা গুগল ম্যাপ চালু রাখলে পথ হারানোর সম্ভাবনা কমে।
১০. ঝুঁকি এড়ান, আনন্দ উপভোগ করুন
রাতে বাইক চালানো বিপজ্জনক হলেও সতর্ক হলে তা নিরাপদ ও উপভোগ্য হতে পারে। সবসময় সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিন, রাস্তায় অন্যদের প্রতি দায়িত্বশীল হোন।
প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে না, কিন্তু সতর্ক না থাকলে একটি ভুলেই বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন, নিয়ম মানুন, এবং নিরাপদে রাইড উপভোগ করুন।

Comments are closed.