বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে : কনস্টেবলকে বিচারক

নারী কনস্টেবলকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক জুলফিকার আলী তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে আসামির উপস্তিতিতে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এসময় আসামি সাফিউরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান।
তাকে সামনে আসতে বলেন। পরে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে সাফিউর আদালতকে বলেন, ‌‘তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।’ বিয়ে করেছেন কি না আদালত জানতে চাইলে বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী আছে।
এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।’
বউ রেখে আরেকজনের সাথে প্রেম করেন কেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে সাফিউর জানান, ‘ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।’ এ সময় আদালত তাকে বলেন, ‘সে (ভিকটিম) তো মামলা দিয়েছে। ওই মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে মামলার সমাধান করতে পরামর্শ দেন আদালত। তাকে বলেন, বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এ জন্য আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই নারী কনস্টেবল। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাফিউর রহমান গত ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের নারী ব্যারাকে ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। এর আগে গত ৫ মাসে সপ্তাহে দুইবার করে ধর্ষণ করেন এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও চিত্র তার ব্যবহৃত আইফোনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে। মামলার পর ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
You might also like

Comments are closed.