‘করোনায় সেরে উঠতে সহায়তা করতে পারে রেমডিসিভির’

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের ওষুধ কি পাওয়া গেল? সাধারণ মানুষের মুখে এ প্রশ্ন ঘুরছে নিত্যদিন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ওষুধ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেরে উঠতে সহায়তা করতে পারে। এ ব্যাপারে ‘সুপষ্ট প্রমাণ’ও পাওয়া গেছে। সে ওষুধটি হলো রেমডিসিভির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফুচি বলেছেন, করোনাভাইরাসের পরীক্ষমূলক চিকিৎসায় বা আক্রান্তের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে রেমডিসিভির বিষয়ে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সুস্পষ্টভাবে ওষুধটির কার্যকারিতা রয়েছে।

জিলেড নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি রেমডিসিভির ওষুধটি তৈরি করে। রেমডিসিভির নিয়ে কোম্পানিটি এক বিবৃতি দিয়েছে, তবে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের চালানো এক পরীক্ষায় রেমডিসিভির বিষয়ে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এই পরীক্ষায় ওষুধটি ‘প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে’।

রেমডিসিভির মূলত একটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধী ওষুধ। এটি ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

ডা. ফুচি বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক হাজার ৬৩ জনকে বেছে নেওয়া হয় রেমডিসিভির ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য। তাদের মধ্যে একাংশকে রেমডিসিভির ওষুধটি দেওয়া হয়। অপরাংশকে দেওয়া হয় করোনার জন্য এখন চিকিৎসকেরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করছেন সেগুলো। রেমডিসিভির ব্যবহারের প্রাথমিক ফল খুবই আশাব্যাঞ্জক।

তবে কতটা ভালোভাবে ওষুধটি কাজ করে তা স্পষ্ট নয়। আবার এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণও জোরালো নয়।

এর আগে বিখ্যাত জার্নাল ল্যানসেট চীনে রেমডিসিভিরের একটি পরীক্ষার ফল উল্লেখ করে বলেছিল, ওষুধটিতে কাজ হয়নি। তবে সে পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ ছিল না। কারণ তখন যথেষ্ট রোগী ছিল না।

করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের কার্যকারিতার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার এ খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ বলে প্রশংসা করেছেন। এরপরই জিলেডের শেয়ারের দাম ৬ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.