করোনা ‘নির্মূল’ করেছে নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, সেদেশে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়া গেছে। এ ভাইরাস কাযকরভাবে নির্মূল করা হয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, টানা কয়েকদিন ধরেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক অংকেই রয়েছে। সে হিসাবে বর্তমানে ভাইরাসটি নির্মূল বলা যায়।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, সম্পূর্ণ নির্মূল বলার সময় এখনো আসেনি । নির্মূল মানে কিন্তু এ নয় যে, নতুন করে আর কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে না বা হবে না।
এ ঘোষণার আগে থেকেই নিউজিল্যান্ড সামাজিক মেলামেশায় কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা কাযক্রম সীমিত আকারে চালু করা হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের এখনো ঘরেই অবস্থান করতে বলা হচ্ছে এবং সব ধরনের সামাজিক মেলামেশা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সরকারের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন, আমরা অর্থনীতি খুলে দিচ্ছি। তবে এখনই মানুষের সামাজিক মেলামেলা উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ডে এখন পযন্ত দেড় হাজার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৯ জন। ইউরোপ, আমেরিকা ও ওশেনিয়ার মধ্যে অনেক কম আক্রান্ত দেশ এটি। শুরু থেকেই কঠোরভাবে লকডাউন কাযকর এবং সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কারণেই এ সুফল এসেছে বলে দাবি করছে দেশটির সরকার।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুফিল্ড বলছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। এটিই আমাদের এই আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে যে, আমরা নির্মূলের লক্ষ্য অর্জন করেছি।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘নির্মূল’ মানে কিন্তু এই নয় যে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হবে না। এর অর্থ হলো, নতুন আক্রান্ত কোথায় এবং কীভাবে হচ্ছে সেটি আমরা জানি।
প্রধানমন্ত্রী আরাডার্ন বলেন, নিউজিল্যান্ডে এখন কোথাও ব্যাপকভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে কিন্তু আমাদের জানার মধ্যে নেই, এমনটি আর নেই। আমরা এ যুদ্ধে জিতে গেছি। তবে আমরা যদি এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও নিউজিল্যান্ডে কিন্তু এখনো জমায়েত নিষিদ্ধ, শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ এবং বেশিরভাগ শিশু এখনো স্কুলে যেতে পারছে না। দেশের সীমান্তও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।
সূত্রঃ বিবিসি