ব্যাপক সংঘর্ষে দেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার দিন আজ

অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে চব্বিশের আজকের দিনে রাজপথ জুড়ে ছিল উত্তেজনা, সংঘর্ষ আর দাবির ঝড়। একদিকে ছাত্রদের এক দফা দাবি। অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকার লড়াইয়ে পাল্টা অবস্থান নেয় সরকার।

জুলাইয়ের শেষ দু’সপ্তাহে হাসিনা সরকার হাজারো প্রাণ ঝরালে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় ছাত্রজনতার। একদিকে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন। অন্যদিকে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের নামতে নির্দেশ দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে আরও কঠোর হয় পুলিশ ।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সকালে শাহবাগে অবস্থান নেয় ছাত্রজনতা। আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএসএমএমইউ’র সামনে। বেলা গড়িয়ে দুপুর গড়াতেই দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় চারপাশ।

সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে মিরপুরসহ যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। চলতে থাকে ত্রিমুখী সংঘর্ষ। গোটা প্রগতি সরণি দখলে নেয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরায় বাঁধে দফায়-দফায় সংঘর্ষ।

এক দফার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাড়তে থাকে হতাহতের মিছিল। দিনভর সংঘর্ষে অন্তত ৯৫ জন নিহতের সংখ্যা উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে আবারও অনির্দিষ্টকালের কারফিউসহ তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

You might also like

Comments are closed.