দুটি শিশুর পরিবারকে খুঁজছেন তমা মির্জা

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। এ দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের অন্তত ৩০ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ভিড় করেছেন অভিভাবক, স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক শিশু-শিক্ষার্থী নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনো অনেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ অবস্থায় দুই নিখোঁজ শিশুর পরিবারের খোঁজ করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিশুদের পরিচয় শনাক্তে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন তমা। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই বাচ্চাটা কে, কেউ চিনলে জানাবেন প্লিজ। ও আমার স্কুল ফ্রেন্ডের ভাইয়ের অফিসে আছে। সেফ আছে, তবে ও নিজের ঠিকানা বা পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না। কেউ চিনতে পারলে হাবিব ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

আরেকটি পোস্টে তিনি জানান, ‘এই শিশুটিকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে আনা হচ্ছে। এখনো কোনো অভিভাবকের খোঁজ মেলেনি। কেউ যদি চিনে থাকেন, তাহলে দয়া করে ০১৮১১৬৯৬০৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করুন।’

তমা মির্জার শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, দুই শিশুই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা মিডিয়ামের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বার্ন ইউনিটে নেওয়া শিশুটির নাম মো. জুনায়েত হাসান এবং নিরাপদে রাখা অপর শিশুটির নাম মোছা. আসমাউল হুসনা জায়রা।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ১২ মিনিট পর ১টা ১৮ মিনিটে সেটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট।

You might also like

Comments are closed.