চাপের মুখে ভারতের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চালান পৌঁছল যুক্তরাষ্ট্রে

রফতানি বন্ধের কয়েকদিন পরেই মার্কিন চাপের মুখে ম্যালেরিয়াপ্রতিরোধী ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে রাজি হয়েছে ভারত।এরই ধারাবাহিকতায় দিল্লি থেকে পাঠানো হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের একটি চালান শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। ভারত বলছে, মানবিক কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু দেশে এটি রফতানি করা হচ্ছে। খবর ইকোনোমিকস টাইমসের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এটিকে সম্ভাব্য ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এ ওষুধটিকে ভারত সরকার কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের প্রথমে ভারত থেকে ৩৫ লাখ ৮২ হাজার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট চেয়ে অনুরোধ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।পাশাপাশি ওই ট্যাবলেট তৈরির জন্য ৯ মেট্রিকটন উপাদানও চাওয়া হয়েছে।

এদিকে রোববার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারনজিৎ সিং সান্ধু এক টুইট বার্তায় বলেন,

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাদের অংশীদাদের সহযোগীতার জন্য ভারত থেকে পাঠানো হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের একটি চালান আজ নিউইয়র্কে পৌঁছেছে।

এর আগে ভারত সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর কথা বলে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ব্যথা উপশমকারী প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাখোশ হয়ে ভারতের সমালোচনা করেন। এর পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।

পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখেই ভারত ম্যালেরিয়াবিরোধী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারত সবচেয়ে বেশি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি করে থাকে।যা বিশ্বে চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ।

ট্রাম্পের হুমকির পরেই গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ভারত সব সময়েই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে মানবতার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, ভারত প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ যথাযথ পরিমাণে আমাদের প্রতিটি প্রতিবেশী দেশকে সরবরাহ করবে। যে সব দেশ করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও আমরা এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব।’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.