ফেসবুকের ‘প্রোফাইল লক’ থাকলে মিলবে না মার্কিন ভিসা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের ভিসার জন্য আবেদনকারী মালয়েশিয়ানদের এখন থেকে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল সর্বজনীন (পাবলিক) করে রাখতে হবে। অর্থাৎ, তা ‘লক’ রাখা যাবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষিত নতুন যাচাইকরণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।

কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই নতুন নিয়মটি এফ (শিক্ষার্থী), এম (বৃত্তিমূলক বা কারিগরি প্রশিক্ষণ) এবং জে (এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী) নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ক্যাটাগরির সব আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য।

 

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ‘এফ, এম এবং জে নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার সকল আবেদনকারীকে তাদের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের গোপনীয়তা সেটিংস ‘পাবলিক’-এ সামঞ্জস্য করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।’

 

 

এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো ব্যাপক স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াকে সহজ করা। দূতাবাস ব্যাখ্যা করেছে যে, আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই এবং যোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপস্থিতি যাচাই প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।

 

 

দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রহণযোগ্য ভিসা আবেদনকারীদের, যার মধ্যে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টিকারীরাও অন্তর্ভুক্ত, তাদের শনাক্ত করার জন্য আমাদের ভিসা স্ক্রিনিং এবং যাচাইকরণে উপলব্ধ তথ্য ব্যবহার করি।’ জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন ভিসা প্রাপ্তি একটি বিশেষাধিকার, অধিকার নয় এবং প্রতিটি আবেদনকে জাতীয় নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও ঘোষণা করেছে যে, মে মাসের শেষের দিকে একটি সাময়িক বিরতির পর শিগগিরই এফ, এম এবং জে ভিসার আবেদনকারীদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণের কাজ পুনরায় শুরু হবে। সম্ভাব্য আবেদনকারীদের অ্যাপয়েন্টমেন্টের উপলব্ধতার জন্য অফিসিয়াল দূতাবাস বা কনস্যুলেট ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

 

 

 

নতুন এই আপডেটটি ২০১৯ সালের একটি প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, যেখানে ভিসা আবেদনকারীদের আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিতি প্রদান করতে বলা হয়েছিল।

MMS
You might also like

Comments are closed.