সকাল-সন্ধ্যার ব্যবধানে ঘাস-খড়ের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
সকালে যে ঘাসের আটি কিনেছি ১৫ টাকায়, বিকেলে সেটার দাম ৩০ টাকা হয়ে গেছে। সকালে যে দোকানদারের কাছ থেকে কিনেছি, সন্ধ্যায়ও তার কাছ থেকে একই জিনিস কিনলাম। কী এমন হলো যে সকালের দাম সন্ধ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গেল?’
কুরবানির পশুকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে খড় আর ঘাস কিনতে এসে এভাবেই বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন রাজধানীর আদাবর থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকার বাসিন্দা শাকিল হোসেন।
তিনি বলেন, ঈদের আবেগকে পুঁজি করে মানুষের গলা কাটছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক মুঠো পরিমাণ খড়ের আটির দাম রাখছে ৩০ টাকা। কাঁচা ধানগাছের আটিও ৩০ টাকা। আর ঘাসের আটি বিক্রি করছে ৫০ টাকা করে।
শুধু শাকিল হোসেন নন, ঢাকায় যারা কুরবানি দিচ্ছেন, তাদের সবাইকেই এমন উচ্চ দামে ঘাস ও খড় কিনতে হচ্ছে। আর কাঁঠালপাতা যেন আরও দামি এক আটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামলী এলাকায় কথা হলো আলী হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে। ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতা কিনতে এসেছিলেন তিনি।
আলী হোসেন বলেন, একেকটা পাতা ১ টাকারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর ভূসির দাম তো এখন চালের চেয়েও বেশি। এটা ব্যবসা নয়, সুযোগের সদ্ব্যবহার।
আলী হোসেন আদাবর এলাকায় যে দোকানির কাছ থেকে খড় কিনেছেন, তার নাম মো. ফয়জুর। ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটি বাজার থেকে খড় ও কাঁচা ধানগাছ কিনে এনে মনসুরাবাদ এলাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
সকাল-সন্ধ্যার ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ফয়জুর বলেন, ‘আগে কম মানুষ গরু-ছাগল কিনেছিল, তাই চাহিদা কম ছিল। কিন্তু এখন যত সময় যাচ্ছে, তত বেশি মানুষ কিনছে। সবাই গরু-ছাগল কিনে বাড়িতে রেখেই আমাদের কাছে ছুটে আসছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়ছে।

Comments are closed.