নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কার, জামায়াতের সেই কর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের জামালখানে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক আয়োজিত সমাবেশে নারীকে মারধর ও লাথি মারার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিবাগাত উল্লাহ আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১ জুন) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি আকাশ চৌধুরীকে জামায়াত থেকে ঘোষণা দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এই ঘটনায় পুলিশের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে সেখানে মিছিল নিয়ে আসে ‘অ্যান্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামে একটি সংগঠন।
এই সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অভিযোগ, এক পর্যায়ে অ্যান্টি শাহবাগ মুভমেন্ট তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের ১৫ জন আহত হয়। এই সময় ঘটনাস্থল থেকে এক ছাত্রসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে হামলার পরপরই ভাইরাল হওয়া ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেস ক্লাবের সংলগ্ন চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সামনে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। আকাশ পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতাকর্মীদের পেছন যান।
সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন। লাথি মারার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এরপর গত ৩০ মে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়ত এক বিবৃতিতে জানায়, চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথা মারার ঘটনায় জামায়াতকর্মী আকাশ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Comments are closed.