‘করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ব্যবসা করছে চীন’

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীন থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস, এ ভাইরাসকে পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করেছে চীন।

আর চীনের দাবি, মার্কিন সেনাদের গবেষণাগার থেকে উহানে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। অর্থ, ওষুধ, নার্স ও চিকিৎসক দিয়ে ইউরোপসহ বিশ্বে অন্য যে কোন মহাদেশে তারা এ ভাইরাস মোকাবেলায় তাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তায় প্রস্তুত।

ট্রাম্প বলেন, মার্কিন বিজ্ঞানীদের কাছে ভাইরাসের উপাত্ত পাঠিয়েছে চীন। প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে ফোনালাপের পর তারা আরও তথ্য পাঠাচ্ছে। চীনে তাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।

এদিকে, চীন থেকে আনা করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘ত্রুটিপূর্ণ’বলে জানিয়েছে স্পেন ও চেক প্রজাতন্ত্র।

চীনের কাছ থেকে কেনা করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটে ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে সতর্ক করেছে স্পেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

তারা বলছে, চীন থেকে আনা কিটগুলো দিয়ে শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ধারাবাহিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ভাইরাস শনাক্ত করার ক্ষেত্রে কিটগুলো ৩০ শতাংশের কম কার্যকর হওয়ায় সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য বলে জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য বিভাগ।

বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়ায় চীন থেকে আসা করোনাজনিত কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিটের প্রথম চালানটি ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে স্পেন।

এদিকে অভিযোগ ওঠার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্পেনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস। সম্প্রতি স্পেনের সঙ্গে ৪২ কোটি ৩০ লাখ ইউরোর একটি চুক্তি করে চীন। ওই চুক্তিতে চীন থেকে সাড়ে ৫০ লাখ টেস্ট কিট কেনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কিন্তু চীনা দূতাবাস জানায়, ত্রুটিপূর্ণ কিটগুলো ওই চুক্তির অংশ নয়। দূতাবাস আরও জানায়, ত্রুটিপূর্ণ কিটগুলো একটি লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনা।

স্প্যানিশ মাইক্রোবায়োলজি গবেষণাগারে কাজ করেন, এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস জানিয়েছে, চীনা কিটগুলো দিয়ে শনাক্তকরণ পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।

চীনা টেস্ট কিটগুলো পরীক্ষা করেছেন, এমন একজন অণুজীব বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যে ফল পাওয়া গেছে, তারপর এসব কিট ব্যবহার করার কোনো মানে হয় না।’

জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ কিটগুলো শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনেছিল স্পেন। কিন্তু চীন ও স্পেনের মধ্যে কিট-সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী চীনা সরকারের দেয়া তালিকায় ওই প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, শেনঝেন বায়োইজি বায়োটেকনোলজি চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্সভুক্ত নয়। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিন লাখ ৪০ হাজার কিট কেনার জন্য চুক্তি করেছিল স্পেন।

এদিকে একই ঘটনা ঘটেছে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্ষেত্রেও। চীন থেকে আমদানি করা শনাক্তকরণ কিটের প্রায় ৮০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.