মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনা টেস্ট!
মাত্র ১৫ মিনিটেই জানা যাবে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না! এমন পদ্ধতি বের করার দাবি করেছে নেদারল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নাম সেনসিটেস্ট।
ডেইলি মেইল জানায়, সেনসিটেস্ট নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি গেল দুই মাস ধরে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করছে। এর গবেষকরা জানিয়েছেন, কারও রক্ত পরীক্ষা করেই ১৫ মিনিটে তারা জানিয়ে দিতে পারবেন সেই রক্ত কভিড-১৯ পজিটিভ নাকি নেগেটিভ! অনেকটা প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতোই খুব সহজ এই রক্ত পরীক্ষা।
এ বিষয়ে ডেইলি মেইলকে সেনসিটেস্টের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ডাস বলেন, পরীক্ষাটি খুবই সহজ ও সাধারণ এবং চালাকির বটে। এখানে মূলত দেখা হয়, নমুনা রক্তে আইজিজি ও আইজিএমের মতো অ্যান্টিবডির উপস্থিতি আছে কি না, আর তা কতটা? অ্যান্টিবডি দুটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া মানে এই রক্তবাহী কভিড-১৯ এ আক্রান্ত। কারণ এই ভাইরাসটি রক্তে সংক্রমিত হলে আক্রান্তের শরীরে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভাইরাসপ্রতিরোধী আইজিজি ও আইজিএমের মতো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে মাত্র ১৫ মিনিটেই টেস্টের ফল পজেটিভ দেখাবে।
তবে এই টেস্টের দুটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন রবার্ট ডাস।
প্রথমটির বিষয়ে তিনি বলেন, ১৫ মিনিটেই করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করে দিতে পারলেও এতে কিছুটা সীমাবদ্ধতাও আছে। কেউ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট করলে ফলাফল নেগেটিভ দেখাবে। কারণ আক্রান্তের শরীরে তখনো ওসব অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার সময় পায়নি। এজন্য কিছুদিন পরে টেস্ট করাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠে এই টেস্ট করালে তাকে তখনও করোনা রোগী হিসাবেই দেখাবে। টেস্টের ফলাফল পজেটিভ দেখাবে। কারণ তখনও তার শরীর আইজিজি ও আইজিএমের প্রাচুর্যটা রয়েছে। অর্থাৎ রোগী সুস্থ হওয়ার পর এই টেস্ট কোনো মানে রাখে না।
সেনসিটেস্টের এ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুধু নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসকদের কাছেই এই টেস্ট কিট উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়লে সারাবিশ্বে এই টেস্ট কিট পৌঁছে দেবে সেনসিটেস্ট।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, করোনা শনাক্তের টেস্ট কিটের অভাবে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা যাচ্ছে না। এতে চিকিৎসার অভাবে মারা পড়ছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে এই ডাচ কম্পানির উদ্ভাবিত মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা রোগী শনাক্তের কিট চালু হলে রোগটির নিরাময়ে নতুন দুয়ার খুলে দেবে।