কাঁচাবাজারে আবারও আগুন, বিপাকে ক্রেতারা

গেল রমজানে ভোক্তারা স্বস্তিতে সবজি কেনাকাটা করলেও বর্তমানে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। এই দামের তেজ যেন বেড়েই চলছে। ঈদের পর এক ধাপ বাড়ার পর চলতি সপ্তাহে বেড়েছে আরেক ধাপ। মধ্য ও নিম্নবিত্তের আলু-পেঁপেতেও উত্তাপ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির মওসুম এখন প্রায় শেষের দিকে। ফলে সরবরাহ অনেক কম। যার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ফের দাম বেড়েছে। সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সবজির বাজারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। তবে গত রমজানে সরকার বাজার দর নিয়ন্ত্রণে ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল হোসেন সবজি কিনতে আসেন যাত্রাবাড়ী আড়তে। তিনি একসঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য কেনাকাটা করে থাকেন। গত সপ্তাহের তুলনায় এবার তিনি সব ধরনের সবজিতেই দাম বেশি দেখছেন। তিনি বলেন, রমজানে আমরা স্বল্প দামে কেনাকাটা করতে পেরেছি। যা ইতিহাসে রেকর্ড। এখন সরকার বাজার তদারকিতে ঢিলেমি দিয়েছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে কতিপয় ব্যবসায়ী।

যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দয়াগঞ্জ এলাকায় কাঁকরোল ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। অর্থাৎ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এছাড়া পেঁপে ৫০ থেকে ৪৫ টাকা, সাজনা ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা এক আঁটি ২০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা ও পুঁইশাক ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আজকের বাজারে দু-একটি মাছের দাম বাড়লেও বেশির ভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০০ টাকার আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাশ-তেলাপিয়া, সরপুঁটিসহ বেশ কয়েক জাতের মাছ। বাজারে প্রতি কেজি বড় আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে চিংড়ি ও ইলিশ মাছের। প্রতিকেজি মাঝামাঝি আকারের চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১৩০০ টাকায়।

You might also like

Comments are closed.