ইসলাম হিংসা নিয়ে যা বলে…

পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরীফে হিংসা এবং হিংসুককে কঠিনভাবে নিন্দা করা হয়েছে। যেমনঃ

পবিত্র কোরআনে কারিমে হিংসার নিন্দায় বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।’-সূরা ফালাক : ৫

ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষকারী ব্যক্তি সর্বদা শোকার্ত হয়। কারণ সে অন্যের ভালো কোনো কিছু সহ্য করতে পারে না। তাই মনে কষ্টে নীল হতে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষ মানুষের কোনো উপকারে আসে না।’

শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) বলেছেন, ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হলো কুফরের ভিত্তিস্বরূপ।’

হিংসুকের চিহ্ন ও লক্ষণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, হজরত লোকমান (আ.) স্বীয় পুত্রকে উপদেশ প্রদানকালে বলেন, ‘হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে- পিছনে গীবতকরা, সামনা সামনি তোষামোদ করা এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হওয়া।

ইমাম আলী (আঃ) বলেছেন : ‘হিংসা ও বিদ্বেষকারী শোকার্ত হয়’। (মেরাজুস সায়াদাহ, মরহুম আয়াতুল্লাহ নারাকী, পৃষ্ঠা ৩৪৯)

তিনি আরো বলেন : ‘হিংসা ও বিদ্বেষ মানুষের কোন উপকারে আসে না’। (প্রাগুক্ত)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা হিংসা করা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, হিংসা নেক আমলকে সেভাবে খেয়ে ফেলে, যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।’

ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন : ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হল কুফরের ভিত্তি স্বরূপ’। (আল কাফী, খণ্ড ৮, পৃ. ৮, হাদীস নং ১)

‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে যা দিয়েছেন, সে জন্য কি তারা তাদের ঈর্ষা করে?’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত :৫৪)

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.