অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাল ছুটি

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

(১৫ মার্চ) শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের বয়স হয়েছিল প্রায় ৭১ বছর। পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরেফিন সিদ্দিক ৬ মার্চ ইফতারি কেনার জন্য ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর থেকে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন সাবেক উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিতে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সব প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তারা অনেকেই বলছেন এটি একটি খারাপ নজির হলো।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবারের সিদ্ধান্তেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আই সি ইউ তে ভর্তি হওয়ার পর দিন ৭ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.