একইদিনে দুই জেলায় চলন্ত বাসে আগুন, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

একইদিন দুই জেলায় দুই চলন্ত বাসে আগুন লাগল। বাস দুটি পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর এবং ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এ ঘটনা ঘটে।

বরিশালের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-সানুহারের মধ্যবর্তী মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হোসেনের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাসের ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডে পুরো বাসটি পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন। এ ঘটনার পর মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ ছিল।

বরিশালে আধ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা। তবে বাসটি পুড়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে পুরো বাসটি পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে, গ্রীন লাইন পরিবহনের এ বাসটির (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩১৯২) ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শাওন চক্রবর্তী জানান, হঠাৎ দেখতে পাই মহাসড়কের মধ্যে বাসটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, আগুন নেভানোর পর মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বাসে আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

একই দিন ঝিনাইদহের শৈলকূপায় চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন লাগে। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাসে থাকা অর্ধশত যাত্রী। সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে খুলনা থেকে ‘গড়াই পরিবহনের’ একটি বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে বাসটির সাইলেন্সার অংশ থেকে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাস থেকে দ্রুত যাত্রীরা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ায় রক্ষা পান তারা।

শৈলকূপা ভারপ্রাপ্ত ফায়ার স্টেশন কর্তকর্তা মহিউদ্দীন জানান, এলাকায় পানির স্বল্পতা থাকায় কাজে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। যাত্রীরা বড় দুর্ঘটনার আগেই বাস থেকে নেমে পড়েছে । প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.