প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন শেখ মইনউদ্দিন ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আরও দুজন। তাদের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শেখ মইনউদ্দিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। সেভাবেই তাদের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, বিশেষ সহকারী থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারে এখন উপদেষ্টা ২৩ জন। তাদের মধ্যে বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। দপ্তর পুনর্বণ্টনের বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারে এখন উপদেষ্টার পদমর্যাদায় একজন বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক), একজন বিশেষ দূত (আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত) এবং একজন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত) রয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তিনজন বিশেষ সহকারী ছিলেন। তারা স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সহকারী করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হয়েছেন।