জিম্মিদের পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরায়েল

পরবর্তী জিম্মিদের অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি জিম্মিদের মুক্তির বিলম্বকে নেতানিয়াহুর সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে অভিযুক্ত করেছে হামাস।

যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলের ছয়জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ছয় ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে ৬২০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়নি ইসরায়েল। অপেক্ষারত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের আপনজনদের ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অভিযোগ, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ায় আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত যেসব ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশলের অভিযোগ তুলেছে হামাস। হামাসের মুখপাত্র বলেছেন, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ইসরাইল সপ্তম দফায় বন্দিদের মুক্তি না দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।

এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি সহিংসতা বাড়ছে। দেইর দিবওয়ানে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে শত শত গবাদিপশু লুট করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা। একইসঙ্গে, কুসরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে টিয়ারগ্যাস ছোড়ার কারণে অসংখ্য মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.