অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচটায় চেনা রূপে ফিরল বৃষ্টির শহর সিলেট। বৃষ্টির পর ঠান্ডা হওয়া সিলেটকে গরম করেছেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। নেতা মাশরাফির শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরিয়েছেন তারা। বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচেও বাংলাদেশ করেছে ৩ উইকেটে নিজেদের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ (যৌথভাবে) ৩২২ রান। বৃষ্টি আইনে ৪৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৪২ রানের।
প্রথম দুই ম্যাচে সিলেটে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু দুর্দান্ত সব রেকর্ডের পথে ছুটতে থাকা ম্যাচেই বৃষ্টি বাগড়া দিল। ভক্তদের মনে তৈরি করল আক্ষেপ। তারপরও তামিম-লিটন গড়েছেন যেকোন উইকেটে দেশের সর্বোচ্চ ২৯২ রানের জুটি। ২০১৭ সালে সাকিব-মাহমুদুল্লাহর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ২২৫ রানের জুটি ভেঙেছেন। ভেঙেছেন ওপেনিংয়ে ২১ বছর আগে করা দেশের সর্বোচ্চ ১৭০ রানের জুটি। গড়েছেন ওপেনিংয়ে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি শাই হোপ ও ক্যাম্পবেলের অধীনে। তারা করেছিলেন ৩৬৫ রান। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইমাম উল হক ও বাবর আযমের ৩০৪ রান। বাংলাদেশ ওপেনার লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল তিন ম্যাচের সিরিজে তুলে নিয়েছেন নিজেদের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ১২৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন দাস এ ম্যাচে নিজেকে তো বটেই ছাড়িয়ে গেছেন দেশসেরা ইনিংস খেলা তামিম ইকবালকে।
আগের ম্যাচে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান তিনি। দর্শকদের তাই দিতে পারেননি বিনোদন। এ ম্যাচে সেটা যেন পুষিয়ে দিলেন লিটন। খেললেন ১৪৩ বলে ১৬ চার ও আট ছয়ে দেশসেরা ১৭৬ রানের ইনিংস। ছাড়িয়ে গেলেন আগের ম্যাচেই করা তামিমের সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংসটাকে। তিনি যেভাবে ব্যাট করছিলেন আউট না হয়ে গেলে ৪৩ ওভারের মধ্যেই হয়তো পূর্ণ করে নিতেন নিজের ডাবল সেঞ্চুরি!
লিটনের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়া তামিম ইকবাল তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি। তিনি ১২৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারি। শেষ দিকে ব্যাট করা মাহমুদুল্লাহ ৪ বলে ৩ রান এবং আফিফ হোসাইন ৪ বলে ৭ রান করে আউট হন। বাংলাদেশের তিনটি উইকেটই তুলে নেন চার্ল মুম্বা।