ইসরায়েলের কাছে নতুন করে শত কোটি ডলারের অস্ত্র বেচবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে নতুন করে একশো কোটি ডলার মূল্যমানের বোমা ও অন্য সামরিক উপকরণ বিক্রির উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে অস্ত্র বিক্রির এই প্রস্তাবটি মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ কংগ্রেসের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের শিগগির এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

যে সব অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে এক হাজার পাউন্ডের চার হাজার ৭০০টি বোমা। এর মোট মূল্যমান ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পাশাপাশি ক্যাটারপিলার নির্মিত ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের অস্ত্রসজ্জিত বুলডোজারও থাকছে এই তালিকায়।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের প্রগতিশীল সদস্যরা এই উদ্যোগের সমালোচনা করতে পারেন। নিন্দিত হতে পারে প্রকৌশলবান্ধব উপকরণ নির্মাতা ক্যাটারপিলার। মূল কারণ, এর আগে ইসরায়েল এ ধরনের বুলডোজার ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করেছে।

এর আগে ইসরায়েলের কাছে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা বিক্রির একটি উদ্যোগ স্থগিত করেছিল বাইডেন প্রশাসন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

একইসঙ্গে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, ভবিষ্যতেও ইসরায়েলের কাছে অস্ত্রের কোনো চালান স্থগিত করা হবে না।

গত সপ্তাহে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প অস্ত্র বিক্রি প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারা এর জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে এবং দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছে।’

এমন সময় ট্রাম্প প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।

মার্কিন অস্ত্রের সম্ভার। ছবি: সংগৃহীত

ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে অন্য বিষয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের চুক্তি নিয়ে আলাপ হবে।

পাশাপাশি নেতানিয়াহু ও অন্য ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আরও আটশো কোটি ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রির অনুরোধ জানাতে পারে। এসব অস্ত্রের মধ্যে থাকবে কামানের গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা। ওই প্রস্তাবটি বাইডেনের আমলে এলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিক্রি স্থগিত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন সাবেক কর্মকর্তারা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.