সড়ক অবরোধে ভোগান্তি, হেঁটেই গন্তব্যে শত শত মানুষ
রাজধানীর মিরপুর রোড জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহতরা অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শত শত মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধদের পাশাপাশি রোগীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রবিবার( ২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে মিরপুর রোডের শ্যামলী আশা ইউনিভার্সিটির সামনে সড়ক অবরোধ করেন আহতরা। এতে নিউমার্কেট–গাবতলী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামলীতে আহতরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করছেন। উভয় পাশে সারি সারি যানবাহন দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানুষ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে।
রোকেয়া নামে এক সত্তরোর্ধ্ব নারী সাভারে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন। সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি কল্যাণপুরে আটকা পড়েন, এরপর লাঠিতে ভর দিয়ে ফুটপাত ধরে শ্যামলী পর্যন্ত আসেন। ক্লান্ত হয়ে ঘনঘন শ্বাস নিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর গন্তব্য ফার্মগেট। এ অবস্থা দেখে দেড় শ টাকা ভাড়ায় শিশুমেলার সামনে থেকে পথচারীরা তাঁকে একটি রিকশায় তুলে দেন।
এ রকম শত শত নারী, শিশু, বৃদ্ধদের হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আমজাদ আলী নামে এক পথচারীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘এখন কাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, এই আন্দোলন না করে, আহতদের উচিত সরকারের কাছে গিয়ে কথা বলা।’
ওই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। সেসব হাসপাতালের রোগীরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। সড়কে তীব্র যানজট থাকায় এবং সড়ক বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে পারছে না। রোগীরা আসাদগেট বা কল্যাণপুর থেকে হেঁটে আসছেন। অনেক রোগীকে স্বজনদের কাঁধে ভর দিয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ঢাকার মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচিও অব্যাহত রেখেছেন। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ বা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি।
তবে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের কথা চিন্তা করে ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত ছিল আজ। সকাল ১০টার দিকে মোনাজাত শেষে বহু মুসল্লিকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।