জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়েছে সরকার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে জ্বালানি বিভাগের প্রজ্ঞাপনে নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়।

নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক টাকা কমানো হয়েছিল। পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৫ টাকা করা হয়েছে। পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১২১ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬ টাকা হয়েছে।

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।

অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময় মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।

জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.