ধর্মভিত্তিক আইনের জেরঃ দিল্লিতে নিহত ১৮, আহত ১৫০, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলতে থাকা সহিংসতার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮। রবিবার থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়েছে হিংসা। সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। দেখা করেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। অজিত দোভাল সিলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী চক প্রভৃতি জায়গা ঘুরে দেখেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
মঙ্গলবার গভীর রাতের এক নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় হিংসার ঘটনায় আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথের বন্দোবস্ত করতে এবং তাঁদের জন্য আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে রাজধানীর হিংসাত্মক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।
সহিংসতা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর তৃতীয় বৈঠকটি করেছেন। বৈঠকে ছিলেন আইপিএস অফিসার এসএন শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবার তাঁকে বিশেষ পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলছিল। এই পরিস্থিতিতে সহিংসতা থামাতে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে যথেষ্ট পরিমাণে আধা সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লীতে টানা তিন দিন ধরে চলছে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। অভিযোগ, একদল মানুষ লাঠি, রড নিয়ে মুসলিমদের উপর সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। পুড়িয়ে দিচ্ছে মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকান। বহু জায়গাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ।