তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য: ফিরতে শুরু করেছে বিদেশি ক্রেতা

বাংলাদেশ তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এনেছে। রপ্তানি পোশাকের একটি অংশ এখন বেশ দামি। ফলে খুচরা ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের রপ্তানির সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। গত জুন থেকে পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে হয়েছে দুই দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে—গত জুলাই পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি দুই দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগস্টে সাত দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ও সেপ্টেম্বরে ১৪ দশমিক ছয় শতাংশ বেড়ে হয়েছে তিন দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন ডলার।

অক্টোবরে রপ্তানি ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এই প্রবৃদ্ধি চলমান আছে। নভেম্বরে পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ও ডিসেম্বরে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

রপ্তানির প্রবণতা দেখে মনে হচ্ছে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ভালো করছে।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি জানান, ভারত সরকার শুধু আর্থিক সহায়তাই দিচ্ছে না, বিশ্ববাজার দখলের জন্য জোরদার বিপণন কার্যক্রমও শুরু করেছে।

যেমন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ‘ভারত টেক্স ২০২৫’ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। আরও ক্রেতা আকৃষ্ট করার ব্যবস্থা নিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকটের কারণে কিছু কার্যাদেশ ভারতে চলে গেছে এটা সত্য। তবে ভারত সরকার বহু বছর ধরেই পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের তুলনায় সেখানে শ্রম আইন কঠোর ও মজুরি বেশি হওয়ায় তারা এই খাতে ভালো করতে পারেনি।’

‘ভারতে শ্রমিক ইউনিয়ন বেশ শক্তিশালী,’ উল্লেখ করে সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘ভারত সরকার রপ্তানিকারকদের যে প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তা অবশ্যই ডব্লিউটিওর নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। তা না হলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো প্রতিবাদ করবে।’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.