২৬ জানুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায় যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। নানা প্রয়োজনে মানুষ জানতে চায় সেসব ইতিহাস।

আজ রবিরবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫। এক নজরে দেখে নেয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৫০০ – ভিসেন্ড পিনৎসল ব্রাজিল আবিষ্কার করেন।

১৫৩১ – পর্তুগালে লিসবন শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

১৫৬৫ – বিজয়নগর সাম্রাজ্য ও দক্ষিণাত্যের সুলতানি রাজ্যের মধ্যে তালিকোটার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের ফলে ভারতের সর্বশেষ হিন্দু রাজত্ব বিজয়নগরের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল।

১৬৯৯ – কার্লোউইজ সন্ধি অনুসারে তুরস্ক এবং অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, ভিনিস ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘটিত মহাযুদ্ধের অবসান হয়।

১৭৮৮ – গভর্নর আর্থার ফিলিপ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৪১ – হংকং ব্রিটিশ সার্বভৌম ভূখণ্ডে পরিণত হয়।

১৯১৮ – ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৩০ – ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ বা ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।

১৯৫০ – ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়। রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়।

১৯৫২ – ঢাকার পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন। মিশরের কালো শনিবার রায়োট: রাজধানী কায়রের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ব্রিটিশ নাগরিক ও মিশরীয় ধনী ব্যক্তিত্বের ওপর আক্রমণ করা হয়।

১৯৬১ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, জেনেট এফ ট্রাভলকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম নারী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেন।

১৯৬৫ – হিন্দি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস।

১৯৮২ – তালিবাবাদে বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।

১৯৮৬ – ইসরাইল ও মিসরের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।

১৯৯১ – সোমালিয়ার ক্ষমতা হতে সাইদ বারিকে অপসারণ; আলি মাহাদির জয়লাভ।

২০০১ – ভারতের গুজরাটে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

২০০৪ – রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই আফগানিস্তানের নতুন সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।

জন্ম:

১৮৪৪ -গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বাঙালি বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য।

১৮৫০ – অ্যাডওয়ার্ড বেলামি, মার্কিন লেখক ও সমাজতন্ত্রী।

১৮৭৮ – ডেভ নোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৮৮৪ – অ্যাডওয়ার্ড স্যাপির, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী।

১৮৯০ – গোপালদাস মজুমদার, খ্যাতনামা প্রকাশক।

১৯১১ – পলিকার্প কুশ, নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিদ।

১৯১৮ – নিকালোই চসেস্কু, রুমানীয় নেতা।

১৯৬৩ – হোসে মরিনহো, পর্তুগিজ ফুটবল ব্যবস্থাপক ও সাবেক ফুটবলার।

মৃত্যু:

১৮২৩ – অ্যাডওয়ার্ড জেনার, চিকিৎসক, গুটি বসন্তের টিকার আবিষ্কারক।

১৯৬৯ – অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর, বাঙালি ধর্মসংস্কারক।

২০১৪ – হোসে এমিলিও পাচেকো, মেক্সিকান কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক।

২০১৫ – আর কে লক্ষ্মণ নামে পরিচিত রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণ, ভারতীয় ব্যঙ্গশিল্পী ও কার্টুনিস্ট।

২০১৬ – সাহেবজাদা ইয়াকুব খান, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।

২০১৮ – সুপ্রিয়া দেবী, ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.