মিথ্যা তথ্য: দুই ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে মামলা করলেন সারজিস আলম

মিথ্যা ও নোংরা তথ্য দিয়ে সম্মানহানির অভিযোগে দুটি ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলায় উল্লেখ করা পেজ দুটির নাম হলো ‘ক্রিমিনালস-ডিইউ’ এবং ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’। ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল’ পেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আজ সারজিস আলম মামলার বিষয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ক্রিমিনালস–ডিইউ’ এবং ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’—এই দুটি ফেসবুক পেজ যারা চালায় এবং সংশ্লিষ্ট যে কালপ্রিটগুলো (অপরাধী) মিথ্যা ও নোংরা তথ্য দিয়ে আমারসহ নির্দোষ অনেকের সম্মানহানি করেছে এবং করছে, তাদের বিরুদ্ধে আজকে মামলা করেছি।’

সারজিস ফেসবুকের ওই পোস্টে আরও বলেন, ‘আশা করি, খুব দ্রুত সেই কালপ্রিটদের উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা হবে। যৌক্তিক সমালোচনা স্বাভাবিক। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে নোংরামি করলে আর বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহিল বাকি তার ফেসবুক আইডিতে ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’ নামের ওই পেজের অ্যাডমিনের পরিচয় প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, পেজটি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নানান সময়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার, ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট, কার্টুন, ছবি বিকৃতিসহ নানা কিছু পোস্ট করে আসছে। পেজটি থেকে কিছুদিন আগে এক উপদেষ্টারও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপা হয়।

আবদুল্লাহিল বাকি আরও লেখেন, পেজটির পেছনে ছাত্রদলের লোকজন কাজ করছেন বলে সবাই বলার পরও ছাত্রদলের লোকজন এটাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু পেজটি সত্যিই ছাত্রদলের লোকজনই চালান। প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তানভীর আল হাদী মায়েদ পেজটির এডমিন।

তবে তানভীর আল হাদী মায়েদ বলেন, এই পেজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ ধরনের কোনো পেজ চালায় না। আমরা সবকিছু প্রকাশ্যে পরিচালনা করি। ব্যক্তিগতভাবেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ছাত্রদলের কারও সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ নেই। এরপরও ব্যক্তিগতভাবে যদি এমন কেউ কিছু করেন এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিই।’

এর আগে ১৯ জানুয়ারি ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি আপত্তিকর ও অশালীন ভাষায় কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছেন।

সারজিস আলমের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, দুটি পেজ থেকে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোয় দুপুর ১২টার দিকে মামলাটি করা হয়েছে। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম বিভাগ মামলাটি তদন্ত করবে।

You might also like

Comments are closed.