প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের পদত্যাগ, হচ্ছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী!
পদত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পৌঁছে দিয়েছেন ৯৪ বছর বয়সী মাহাথির।
মাহাথির মোহাম্মদের অভিষিক্ত উত্তরসূরি আনোয়ার ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে দেশটিতে নতুন সরকারি জোট গঠন করা হবে— এমন গুঞ্জনের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন মাহাথির মোহাম্মদ।
নতুন সরকারি জোট গঠনের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীদলের বৈঠকের পর গত এক সপ্তাহ ধরে চলছিল নানা গুঞ্জন। বৈঠকে মাহাথির মোহাম্মদের অভিষিক্ত উত্তরসূরি আনোয়ার ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে সরকারি জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য দলের সহায়তায় মাহাথির নতুন সরকারি জোট গঠন করবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে, মাহাথিরের দল মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইনডাইজেনিয়াস পার্টির সভাপতি ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন ফেসবুকে জনিয়েছেন, তাদের দল বর্তমান জোট ত্যাগ করেছে।
গতকাল আনোয়ার ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, মাহাথিরের দল ও তার দল পিপলস জাস্টিস পার্টির কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক’ মিলে ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ঘুষের অভিযোগে ইউএমএনও দলকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
রয়টার্সের সূত্র জানিয়েছে, নতুন জোট গঠনের লক্ষ্যে মাহাথিরের দল ও আনোয়ারের দলের কিছু সদস্য ইউএমএনও এবং মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাহাথির মোহাম্মদই নতুন জোটের প্রধান হবেন।
২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জোট সরকারের প্রধান হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মাহাথির মোহাম্মদ। এই জোটের বৃহত্তম দলটির প্রধান হলেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
এদিকে সোমবার স্থানীয় সময় ৫টার দিকে রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগংয়ের সঙ্গে দেখা করেন মাহাথির। দুজনের মধ্যে কী আলোচনা হয় সে বিষয়ে কিছু না জানিয়ে প্রাসাদ ত্যাগ করেন মাহাথির। পরবর্তীতে দেশটি প্রধান সচিব মোহাম্মদ জুক আলী এক বিবৃতিতে জানান, মাহাথিরকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাজা।
সংবিধানের আর্টিকেল ৪৩ (২)(এ) মেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়া না পর্যন্ত তিনিই এ দায়িত্ব পালন করবেন। ফলস্বরূপ, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ও মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হওয়ার আগে দেশটির প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন তিনি। সংবিধানের আর্টিকেল ৪৩ (২)(এ) অনুসারে, রাজা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিজের পছন্দসই প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।