আগুন: গুদামে ছিল না সেফটি প্ল্যান, সাড়া মেলেনি একাধিক নোটিসেও

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ট্যানারি গুদামে লাগা আগুন তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। তবে পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনটিতে দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। এছাড়া ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এর আগে ভবনটিকে কয়েক দফা নোটিস দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। সেই নোটিসের তোয়াক্কা করেনি মালিক পক্ষ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কয়েক বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে সে বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক।


ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান। সাততলা একটি ভবনের পঞ্চম তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুই ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। এরপর একে এক বাড়ানো হয় ইউনিটের সংখ্যা।

মোট ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করে। বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি অংশ নেয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.