মৃত্যু নিয়ে অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী কি বলেছিলেন?
বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫৯ বছরে বসন্তের প্রথম সকালে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। বাঙালির মধ্যবিত্ত সামাজিক জীবনধারাকে তিনি আনন্দিত করে তুলেছিলেন। ফরিদীর নাটক বা সিনেমা মানেই ছিল বিটিভির সাদাকালো পর্দায় পুরো বাঙালির চোখ আটকে যাওয়া।
তার মৃত্যুতে অনেকের আফসোস ছিলো এমন শক্তিমান অভিনেতা ছাড়া মনের মতো চরিত্র ফুটিয়ে তোলার মতো আর কেউ থাকলো না! কোনো সিরিয়াস মুহূর্তকেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরিয়ে দিতে তাঁর তুলনা ছিল না।
মঞ্চ,টিভি ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান এই অভিনেতাকে নিয়ে সংস্কৃতিজগতের প্রায় সবারই এমন অভিমত। অভিনেতা হিসেবে তিনি যেমন শক্তিমান, মানুষ হিসেবেও ছিলেন অনন্য।
চলে যাওয়ার আগের বছর অর্থ্যাৎ ২০১১ সালে নিজের ৬০তম জন্মদিনে বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানে জীবন-মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন ফরিদী। তার সাক্ষাৎকারে মৃত্যু নিয়ে কিছু কথা মানুষের আবেগ ছুঁয়ে যায়। সে অংশটুকু মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ
“মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ, এতো গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ মৃত্যু অনিবার্য, তুমি যখন জন্মেছো তখন মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য তাকে ভালোবাসাটায় শ্রেয়।
মৃত্যুকে ভয় পাওয়াটা মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো। গ্রহণ করো, বরণ করে নাও তাহলে দেখবে জীবন কত সুন্দর।
মানুষের খুব তাড়াতাড়ি চলে যাওয়াটা কষ্টের। সঠিক সময় মানুষের মৃত্যুবরণ করাটায় আন্দোলিত হও, তবে খুশি হয়ো না।
মানুষ কখনও বৃদ্ধ হয় না। মানুষ মনে মনে ২৮ বছরে থেকে যায়।
দূরাশা ভালো জিনিস না। আশা করো ক্ষমতার ভিতরে। যা অর্জন করতে পারবে তাই করো। এই আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে।”