আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছেন না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি। তবে এবার স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রভাব মুক্ত থাকবেন। এতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের বাধা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম। বলেন, সব রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হবে।
ইভিএম নিয়ে বদিউল আলম বলেন, ইভিএম একটি দুর্বল প্রকৃতির যন্ত্র। এটি নিয়ে কারসাজি করা যায়। এটি কেনা হয়েছে উচ্চ মূল্যে, নিম্নমানের যন্ত্র। এছাড়া এটি ব্লাকবক্সের মত। ভোট দিলাম, গণনা হলো এর মাঝে কি হলো তা অদৃশ্য থেকে যায়। এজন্য ইভিএম অনেক দেশে ব্যবহার করে না। সর্বপরি ইভিএম ব্যবহারে রাজনৈতিক ঐকমতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিগত সময়ে ইভিএমের ব্যবহার ঐকমতের ভিত্তিতে হয় নি। তাই এটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
কমিশনের প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অপ্রতুলতা ছিল। তাই তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারি কর্মকর্তারা দলীয়করণের কারণে চাপের মুখে থেকে সরকার যেভাবে চেয়েছে সেভাবে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। আমি সুপারিশ করবো যতজন সম্ভব নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যেন নিয়োগ দেওয়া হয়।
নির্বাচন নিয়ে বদিউল আলম বলেন, অনেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরে আবার কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে এবং পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছেন। অনেকে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন চেয়েছেন। আমাদের কাছে হাজার হাজার ব্যক্তি নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। কোন নির্বাচন আগে হবে সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একটু অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর জেলা সুজনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, আঞ্চলিক সমন্বয়ক রাজেশ দেসহ অন্যরা।