ভৌতিক গল্পে মোশাররফ করিম

টেলিভিশনের নাটকে বেশির ভাগ সময় দর্শকদের হাসালেও ওটিটির পর্দায় বারবার তাকে দেখা গেছে অন্য রকম চরিত্রে। গত মাসেই চরকির হরর অ্যানথোলজি সিরিজ ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর ‘একই প্ল্যাটফর্ম মুক্তি পাচ্ছে আরেকটি হরর সিরিজ ‘ষ’-এর সিকুয়েল। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন হরর কনটেন্ট নিয়ে নিজের আগ্রহের কথা।

মোশাররফ করিম বলেন, এখন বেশির ভাগ গল্পই পাই যেখানে কমেডিকে প্রাধান্য দিয়ে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। সবাই দর্শকদের হাসিয়ে কীভাবে বিনোদন দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিনোদন মানেই যে দর্শকদের শুধুই হাসানো, বিষয়টা তা নয়। থ্রিলার বা ভূতের গল্পও আমাকে বিনোদন দিতে পারে।

সেটা দেখে দর্শক বলতে পারে, কাজটি দারুণ হয়েছে। মনকে আন্দোলিত করেছে। এখন সব জনরার গল্পের প্রস্তাব পরিচালকদের কাছ থেকে এলেই কিন্তু দর্শকদের জন্য সব ধরনের কাজ করা হয়। সেখানে ভৌতিক গল্প পাই না।

সময়ের এই জনপ্রিয় অভিনেতা ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কম পেয়েছেন ভৌতিক গল্পের প্রস্তাব। তিনি মনে করেন, বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধ অনেক ভৌতিক গল্প রয়েছে, দেশের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে লোককথা। সেগুলো তুলে আনা যায়। এই অভিনেতার মতে, আমি বরাবরই কাজে বৈচিত্র্য আনতে চাই। দর্শক সব ঘরানার কাজ থেকেই বিনোদন নিক। গত বছর যখন নুহাশের (হুমায়ূন) সঙ্গে কথা হয়, তখনই আমার “ষ”-এর দ্বিতীয় মৌসুমের গল্পটি ভালো লাগে। আগের মৌসুম দেখা ছিল। নুহাশের নির্মাণ বেশ ভালো; মনে হয়েছে, কাজটি করা উচিত।

মোশাররফ করিম মনে করেন, হরর গল্প নির্মাণে যে প্রস্তুতি দরকার হয়, আলাদা একটা আবহ ফুটিয়ে তুলতে হয়, সেটার জন্য সময় ও বড় অর্থ লগ্নির প্রয়োজন হয়। যেটা কোনোটাই নাটকে সম্ভব হয় না।

এই অভিনেতা বলেন, নাটকের বর্তমান বাজেটে ভালো একটি ভৌতিক গল্প ফুটিয়ে তোলা অনেকটাই কঠিন। এখানে ভিউ বিষয়টা জড়িত। অনেকেই ঝুঁকি নিতে চান না। তবে ওটিটি এখন সেই সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি বিশেষ করে দর্শকদের “ষ”-এর নতুন মৌসুম দেখার কথা বলব। এটা অসাধারণ একটা কাজ হয়েছে। ভৌতিক গল্প হিসেবে উপস্থাপনা, চরিত্রায়ণ আমার ভালো লেগেছে। এ ধরনের গল্প, বাজেট হলে আমি হরর গল্পে কাজ করতে চাই।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.