সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শাসনামলের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহীরা। বুধবার ( ১১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আসাদ সরকারের সব কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার এবং বন্দিদের হত্যা ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করারও ঘোষণা দেন তারা। খবর রয়টার্সের।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে দেবেন এবং কুখ্যাত কারাগারগুলো বন্ধ করবেন।
আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনামলে সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে নিপীড়ক পুলিশ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি ছিল। আসাদকে উৎখাত করে আল-জোলানির হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সিরিয়ার যেকোনো সহিংস প্রতিশোধ রোধ করে আসাদ সরকারের নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচারের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা সুরক্ষিত করার বিষয়টিও তাদের বিবেচনায় আছে বলে বিৃবতিতে জানান জুলানি।
বাশার আল-আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী
এদিকে, সিরিয়ানরা আসাদ সরকারের কুখ্যাত কারাগারগুলোতে মরিয়া হয়ে তাদের প্রিয়জনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যেখানে হাজার হাজার বন্দিকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে জীবিত ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ কারাগারে মারা গেছেন। আবার হাজার হাজার সিরিয়ানকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির টেলিগ্রাম চ্যানেলে আলাদা বিবৃতিতে জুলানি বলেছেন, যে বা যারা বন্দিদের নির্যাতন বা হত্যায় অংশ নিয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এ বিষয়ে ক্ষমা করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। বলেন, ‘আমরা সিরিয়ায় তাদের বিচার নিশ্চিত করব। যেসব দেশে অপরাধীরা পালিয়ে গেছে আমরা দেশগুলোকে বলব তাদের হস্তান্তর করতে, যাতে আমরা ন্যায়বিচার পেতে পারি।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিদ্রোহীদের অভিযানে আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ১৩ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয়েছে সিরিয়ায়। এখন নতুন প্রশাসন সহিংস প্রতিশোধ এড়িয়ে দেশকে স্থিতিশীল করার পথে এগিয়ে যেতে পারে কিনা সেদিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব।