সিরিয়ায় ইসরায়েলের ভূমি দখলের নিন্দা ইরাক-সৌদির
সিরিয়ায় গোলান মালভূমির কাছে ইসরায়েলের ভূমি দখলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরাক, কাতার ও সৌদি আরব। ইসরায়েলের ভূমি দখলকে ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। সোমবার(৯ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সিএনএনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে বলে, ‘ইসরায়েলের এই অনুপ্রবেশ সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের ওপর ভয়ানক হামলা এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। দখলদার ইসরায়েলের নির্ধারিত নীতি,বিশেষ করে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা এই অঞ্চলে সংঘাত ও সহিংসতা আরও বাড়াবে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় বিমান হামলা ও ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করে ইসরায়েল। এর সমালোচনা জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানায়, সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও দেশের অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগকে নষ্ট করছে ইসরায়েল।
সিরিয়া অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ট্যাঙ্কের ওপর দাঁড়িয়ে ইসরাইলি সেনা। ছবি: সংগৃহীত
দোহা ও রিয়াদের মতো একই কণ্ঠে ইসরায়েলের সমালোচনা জানিয়েছে বাগদাদ। ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল। এরপর ১৯৭৪ সালে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ রেখা প্রতিষ্ঠার চুক্তি করা হয়। এই রেখার দুই পাশে ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশই সেনা মোতায়েন করতে পারবে না।
কিন্তু রবিবার আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আর কার্যকারিতা নেই। তিনি বাফার জোনের পাশাপাশি এর আশেপাশের অঞ্চল দখলের নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ)। এ নির্দেশ অনুযায়ী বাফার জোন অধিগ্রহণের পর রবিবার হারমন পর্বতের সিরিয়ার অংশের দখল নেয় আইডিএফ।