অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকেই প্রবাস আয়ে উড়ন্ত গতি দেখা দিয়েছে। চলতি অক্টোবরের প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ১৯৫ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। গত মাসেও প্রবাস আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলার বা ৯০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্স আসার এই গতি মাসের বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকলে প্রবাস আয়ের পরিমাণ আড়াই বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর মাসের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি।
আগের মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন এসেছিল ৮ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে।
মাসের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ২০ হাজার ডলার। তবে এ সময়ের মধ্যে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসী আয় তলানি ঠেকেছিল। এ সময় ডলারের দর বেড়ে যায়। ফলে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে প্রবাস আয় বাড়তে শুরু করে।
জুনে একক মাস হিসাবে এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাস আয় আসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এরপর দেশে প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে জুলাই মাসে প্রবাস আয় কমে যায়। আগস্টে সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়ায়।

Comments are closed.