চার্জে গতি নেই কেন?

স্মার্টফোনে ব্যাটারি ও চার্জিং– দুটো বিষয়েই প্রচুর অভিযোগ শোনা যায়। কেউ বলেন, চার্জ হচ্ছে ধীরগতিতে, আবার কারও অভিযোগ বেশিক্ষণ চার্জ থাকছে না মোবাইলে। যার পেছনে বহু কারণ থাকতে পারে। কয়েকটি টিপস মেনে চললে আগের মতোই চার্জের গতি বাড়বে।

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের স্মার্টফোনে এখন চার্জিং স্পিড তুলনামূলক বেড়ে গেছে। যতটা সময় আগে লাগত, এখন তার অর্ধেক সময় লাগে। কিছুটা ব্যতিক্রমও হয়। বিরামহীন ব্যবহার, ফোনে সংরক্ষিত গুচ্ছ অ্যাপস আর যত্ন না নেওয়ার ফলে সেই ফাস্ট চার্জিং ক্রমে ধীরগতির হয়ে যায়। তাই ফোনের চার্জিং গতি বাড়িয়ে নিতে কিছু টিপস কাজে আসবে। মোবাইলে যদি কাভার থাকে, তাহলে চার্জিংয়ে বসানোর সময় তা খুলে রাখা শ্রেয়। গরমের সময় চার্জিংয়ের ফলে স্মার্টফোনে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয়। কারণ, ফোনে যদি কাভার থাকে, তাহলে ব্যাটারি হিট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কাভার সরিয়ে ফোন চার্জে রাখা নিরাপদ। যদি ওয়্যারলেস চার্জিং করার সুবিধা থাকে, তাহলে তা এড়িয়ে চলুন। কারণ ওয়্যারলেস চার্জিংয়ে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয়।

ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া ও গেমিং

আজকাল স্মার্টফোনে গেম খেলার প্রবণতা বহু গুণে বেড়ে গেছে। আবার ফোন চার্জিংয়ে রেখেই অনেকে গেমে মত্ত হয়ে যান। ফলে প্রসেসর ও ব্যাটারির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। এতে কমে যায় চার্জিং গতি। শুধু তাই নয়, ফোনের ব্যাটারির ভেতরেও ক্ষমতার ক্ষয় শুরু হয়। গেমিংয়ের সঙ্গে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ না মারাই শ্রেয়। এতেও চার্জিং গতি কমে আসে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস.
অ্যাপস ছাড়া সবই অচল। তবে জরুরি অ্যাপস রেখে অপ্রয়োজনীয় বা এখন দরকার নেই, সেসব অ্যাপস মুছে ফেলা উচিত। কারণ, ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে সেসব অ্যাপস ব্যাটারির শক্তি টেনে নেয়। দ্রুত শেষ হয়ে যায় ব্যাটারি। অন্যদিকে কমে যায় চার্জিং গতি।

যথার্থ ইউএসবি চার্জার

সব সময় ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে জরুরি কোন ওয়াটের চার্জার ব্যবহার করছেন, তা সঠিকভাবে জানা। নিজের ফোনের বক্সে বা স্পেসিফিকেশনে উল্লেখ থাকে চার্জিং ওয়াট। তার কম ক্ষমতার চার্জার দিয়ে চার্জ করলে গতি ক্রমে কমে যাবে। অন্যদিকে নির্ধারিত ওয়াটের থেকে বেশি ক্ষমতার চার্জার ব্যবহার করলে দীর্ঘ মেয়াদে তা ফোনের ব্যাটারির জন্য ক্ষতির কারণ হয়।

ব্যাটারি হেলথ

আজকাল প্রতিটি স্মার্টফোনেই ব্যাটারি হেলথ অপশন বিল্টইন থাকে। সেখানে ক্লিক করে ব্যাটারি ইউসেজ ও কী কী কারণে ধীরগতিতে চার্জ হচ্ছে, তা জানা যায়। তার পর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হয়। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে কাছের সেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন।

স্মার্টফোনে সঠিক চার্জ

অনেকেই আছেন, যারা সামান্য চার্জ করেই ডিভাইস ব্যবহার শুরু করেন। অভ্যাসটি থেকে বিরত থাকা উচিত। ডিজিটাল পরামর্শকরা বলেন, স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ ২০ শতাংশের নিচে নামলে তবেই চার্জ করবেন। অন্যদিকে স্মার্টফোনে ৯০ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে চার্জ থেকে বিরত থাকবেন। পরামর্শটি অনুসরণ করলে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারি সুস্থ থাকে। যদি কিছুক্ষণ পরপর চার্জে দিয়ে ফোনে কাজ করেন, তাহলে ব্যাটারির ক্ষতি হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.