এবার রাস্তায় অবতরণ করলো ইরানি বিমান!
ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান রানওয়েতে অবতরণ না করে নিকটবর্তী এক মহাসড়কে অবতরণ করেছে! আর বিমানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছেন একের পর এক যাত্রী। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনি এক চমকপ্রদ ভিডিও।
সোমবার কাসপিয়ান এয়ারলাইন্সের ম্যাকডোনেল ডগলাস-৮৩ জেট বিমানটি ১৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ইরানের এক শহরের রাস্তায় জরুরী অবতরণ করে। তবে যাত্রীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায় বিমানটি রাস্তায় নেমে আসার পর তার ভেতর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন যাত্রীরা।
দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর মাহশাহারের রাস্তায় বিমানটি দাঁড়িয়ে থাকার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
বিমানটিতে বিমান কর্মী ও যাত্রী মিলে ছিলেন মোট ১৩৫ জন মানুষ। জানা গেছে, মাহশাহার বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সেটি জরুরী অবতরণ করে। তবে ভালো খবর হলো যাত্রীরা সকলেই নিরাপদে আছেন।
বলা হচ্ছে বিমানটির বয়স ২৫ বছরেরও বেশি। ১৯৯৪ সালে ফরাসি এয়ারলাইন্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বিমানটি। ২০১২ সালে তা কাসপিয়ান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়।
আর ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইরানের কাসপিয়ান এয়ারলাইন্স। যার সদর দফতর রাজধানী তেহরানে।
ইরানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেল তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য বিমানটির পাইলটকে দায়ী করা হচ্ছে। তিনিই বিমানটি দেরিতে অবতরণ করান। আর সে কারণেই বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে যায়।
অন্যদিকে বিমানটিতে যাত্রী হিসেবে থাকা এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিমানটির পেছনের চাকা ভেঙে যাওয়ায় সেটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে থেকে পিছলে যায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার মাত্র চার দিনের মাথায় ০৮ জানুয়ারি ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
আর এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। প্রথমদিকে দায় নিতে অস্বীকার করলেও তিন দিন পর নিজেদের ভুলে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে বলে দায় স্বীকার করে ইরান সরকার।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র ভুলক্রমে বিমানটিতে গিয়ে আঘাত হানার ফলে তা ভূপাতিত হয়। বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ছিলেন ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক।
এ নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানের জনতা। রাস্তায় বেরিয়ে নজিরবিহীনভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগ দাবী করে তারা।